সরকার দেশের চার ধরনের জমির ওপর থেকে স্থায়ীভাবে খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর বাতিল করেছে। নতুন এই বিধানে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের আর কোনো খাজনা পরিশোধ করতে হবে না।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাজনা থেকে অব্যাহতি পাওয়া জমিগুলো হলো—
১️. সরকারি বা জাতীয় খালাস জমি
২️. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেমন মসজিদ, মন্দির, মঠের জমি (বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার না হলে)
৩️. পুনর্বাসন বা আবাসন প্রকল্পের জমি
৪️. সরকার কর্তৃক জরুরি প্রয়োজনে অধিগ্রহণকৃত জমি
এছাড়া প্রান্তিক কৃষক বা অসচ্ছল জমির মালিকরা চাইলে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে তদন্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খাজনা মওকুফ পেতে পারেন।
আইন অনুযায়ী, সাধারণ জমির খাজনা টানা তিন বছর না দিলে সরকার সেই জমি খাস খতিয়ানভুক্ত করতে পারে। তবে নতুন বিধানে এসব অব্যাহত জমির ক্ষেত্রে আর কোনো কর আদায় করা হবে না।
বর্তমানে খাজনা প্রদানের প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন আর ভূমি অফিসে গিয়ে লাইন ধরতে হয় না; নাগরিকরা সহজেই ভূমি সেবার ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে বিকাশ, নগদ, রকেটসহ বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে অনলাইনে খাজনা পরিশোধ করতে পারেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ব্যবস্থার ফলে ভূমি অফিসে ঘুষ ও হয়রানির প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে এবং জনগণের মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
